রেল ভবনে রেল মন্ত্রণালয় এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের যৌথ আয়োজনে এক মতবিনিময় সভায় জনবান্ধব ইন্টিগ্রেটেড রেলওয়ে ডিজিটাল সার্ভিস প্লাটফর্ম ও মোবাইল অ্যাপ তৈরির প্রস্তাব তোলা হয়। এ প্রস্তাব দেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
আসছে ঈদে যারা ট্রেনে বাড়ি যেতে চান, তারা ঘরে বসে মোবাইলে কাটতে পারবেন ট্রেনের টিকেট।ইতোমধ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ে ‘রেল সেবা’ নামে নতুন অ্যাপ চালু করেছে।
ঘরে বসে ট্রেনের টিকিট কাটতে আপনার মোবাইলে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করে নিতে হবে।
অ্যাপটির মাধ্যমে ঘণ্টায় ১৫ হাজার টিকিট কাটা যাবে। অর্থাৎ প্রতি মিনিটে আড়াইশ টিকিট কাটা যাবে। একই সঙ্গে একজন যাত্রী সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কিনতে পারবেন এটির মাধ্যমে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, নতুন এই অ্যাপটির মাধ্যমে একসঙ্গে ৫০০ যাত্রী ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন। পরবর্তীতে অবকাঠামোগত পরিবর্তন আসলে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মোট টিকিটের ৫০ শতাংশ ক্রয় করা যাবে মোবাইলের ম্যাসেজ বা অনলাইনের মাধ্যমে। এর মধ্যে কিছু সংখ্যক ম্যাসেজের মাধ্যমে, কিছু ওয়েবসাইট ও কিছু পাওয়া যাবে এই ‘রেল সেবা’ অ্যাপের মাধ্যমে।
যেভাবে চালু করবেন ‘রেল সেবা’ অ্যাপ
অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট কাটার জন্য গুগল প্লে-স্টোরে থাকা এই অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে। এরপর সাইন-আপ অপশনের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ও মোবাইল নম্বর দিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে।
অ্যাকাউন্ট খোলা শেষে অ্যাপটির মাধ্যমে সহজেই রেলের টিকিট কেনা যাবে। একই সঙ্গে জানা যাবে ট্রেনের অবস্থান, দেয়া যাবে খাবারের অর্ডার, ট্রেনের সময়সূচি।
টিকিটের অর্থ প্রদান করা যাবে মোবাইল ব্যাংকিংসহ চারটি উপায়ে।
রেলপথমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন জানান, বর্তমানে রেলওয়ের অনেক সেবাই অনলাইন ও এসএমএসের মাধ্যমে মিলছে। এখন প্রস্তাবিত এ প্লাটফর্ম ও অ্যাপ তৈরি হলে রেলের সব সেবা এক প্লাটফর্মে পাওয়া যাবে।
তিনি পলকের প্রস্তাবিত ব্যবস্থাটি দ্রুত বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দফতরগুলোকে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেবেন এবং নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণে সব ধরনের সহযোগিতা করার কথা বলেন।
সভায় উত্থাপিত প্রস্তাবের প্রস্তাবনায় বলা হয়, ইন্টিগ্রেটেড রেলওয়ে অ্যাপ তৈরি হলে সাধারণ নাগরিকরা মোবাইল ফোন থেকেই ট্রেনের সিট বাছাই, সিট বুকিং ও টিকিটের মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন।
এছাড়া স্টেশন, ট্রেনের অবস্থান, গন্তব্যের দূরত্ব ও লোকাল ট্রান্সপোর্ট সেবার সঙ্গে সহজেই যুক্ত হওয়া যাবে। বিভিন্ন অভিযোগও দেয়া যাবে, নিরাপত্তা সেবার জন্য যোগাযোগ করা যাবে।
ট্রেনের টিকিট কাটতে এবং মূল্য পরিশোধে অ্যাপ আনছে রেলওয়ে। যার মাধ্যমে টিকিট কালোবাজারি বন্ধ হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। [ যুগান্তর ]