Home » Blog » Tech News » দেশে আসছে হুয়াওয়ের বহুল আলোচিত Mate 30 Pro

দেশে আসছে হুয়াওয়ের বহুল আলোচিত Mate 30 Pro

দেশে আসছে হুয়াওয়ের বহুল আলোচিত Mate 30 Pro

গুগলের সেবা ছাড়া বৈশ্বিক উন্মোচনের পর দেশের বাজারে আসছে বহুল সমাদৃত হুয়াওয়ের ফ্লাগশিপ স্মার্টফোন মেট ৩০ প্রো। গতবছরের সেপ্টেম্বরে বিশ্ববাজারে আসার আগে থেকেই ফোনটিতে গুগল ‘থাকা-না থাকা’ নিয়ে নানারকম গুঞ্জন ছিল। অবশেষে গুগল ছাড়াই ফোন এনে সবার দৃষ্টি কাড়ে হুয়াওয়ে। অপারেটিং সিস্টেমের বিকল্প প্রস্তুতি থাকলেও অ্যান্ড্রয়েড ওএস নিয়েই জার্মানির মিউনিখ শহরে পর্দা উন্মোচন করে হুয়াওয়ের এ স্মার্টফোনটি। তবে অ্যান্ড্রয়েড ওএস হিসেবে থাকলেও এ ফোনে মিলছে না জিএমএস (গুগল মোবাইল সার্ভিসেস) এর সেবা। জিএমএস’র সেবাগুলোর পরিবর্তে ফোনটিতে যুক্ত করা হয়েছে হুয়াওয়ের সমৃদ্ধ মোবাইল সার্ভিসেস (এইচএমএস)। ফলে গুগল প্লে স্টোরের বদলে এ ফোনটিতে থাকছে হুয়াওয়ের নিজস্ব অ্যাপ গ্যালারি। অ্যাপ গ্যালারিকে সমৃদ্ধ করতে ইতোমধ্যেই ১০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। বিকল্প সেবা হিসেবে গুগল ড্রাইভ ও ফটোজের পরিবর্তে নিজস্ব মোবাইল ক্লাউড সেবা দিচ্ছে হুয়াওয়ে। হুয়াওয়ের তৈরি ব্রাউজার ব্যবহার করা যাবে গুগল ক্রোমের পরিবর্তে। রয়েছে হুয়াওয়ের নিজস্ব ভিডিও স্ট্রিমিং সুবিধা। এছাড়াও ইউটিউব ও জিমেইলের অ্যাপস প্রি-ইন্সটল করা না থাকলেও তৃতীয় পক্ষের বিভিন্ন অ্যাপস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের স্টোর থেকে অ্যাপসগুলো ডাউনলোড করা যাবে। আর ফোনে থাকা ব্রাউজার দিয়েও এ সেবাগুলো উপভোগ করা যাবে। হুয়াওয়ের মেট ৩০ প্রো স্মার্টফোনটি সমৃদ্ধ সব ফিচারের কারণে ইতোমধ্যেই বিশ্ববাজারে বেশ নাম কুড়িয়েছে। ফোনটিতে রয়েছে ৬.৫৩ ইঞ্চির ফুল এইচডি প্লাস এবং ওএলইডি হরিজন ডিসপ্লে। হুয়াওয়ের ফ্ল্যাগশিপ এ স্মার্টফোনটি আইপি (ইনগ্রেস প্রটেকশন) ৬৮ সার্টিফাইড। প্রসেসর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে হুয়াওয়ের সর্বাধুনিক কিরিন ৯৯০ চিপসেট। হাই-পারফরমেন্সের ফাইভজি এ চিপসেটটি ব্যবহারের ফলে লো-ল্যাটেন্সির পাশাপাশি ফোনটি হবে উচ্চগতির। ৮ জিবি র‌্যামের এ ফোনটিতে রয়েছে ২৫৬ জিবি রম সুবিধা। এছাড়াও এক্সটারনাল মেমোরির জন্য ২৫৬ জিবি পর্যন্ত এসডি কার্ড ব্যবহার করা যাবে। ফোনটির উন্নতমানের ক্যামেরা কনফিগারেশনের স্বীকৃতিও মিলেছে। ডিএক্সও মার্ক র‌্যাংকিংয়ে ১৩২ ফটো স্কোর নিয়ে এখন সবার ওপরে রয়েছে মেট ৩০ প্রো। ফোনটিতে রিয়ার ক্যামেরা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ৪০ মেগাপিক্সেলের দু’টি ক্যামেরা। যার একটি সুপার-সেনসিং ও অপরটি সিনে ক্যামেরা। সিনে ক্যামেরাটির সাহায্যে খুবই কম আলোতেও ভিডিও ও ছবি ধারণ করা যাবে। এ দু’টি ক্যামেরা ছাড়াও রয়েছে ৮ মেগাপিক্সেলের টেলিফটো ক্যামেরা ও থ্রিডি ডেপথ সেন্সর। পাওয়া যাবে ৩০ গুণ পর্যন্ত ডিজিটাল জুমিং সুবিধা। ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৪৫০০ এমএএইচের শক্তিশালী ব্যাটারি। ৪০ ওয়াটের সুপারচার্জ সুবিধা থাকায় খুবই অল্প সময়ে দ্রুত চার্জ করা যাবে। খুব শিগগিরই স্মার্টফোনটি দেশের বাজারে পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Leave a Reply